SEO
SEO
কোন ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পাতায় নিয়ে আসার জন্য SEO খুবই গুরুত্বপূর্ন SEO means (Search Engine Optimization )
সার্চ ইঞ্জিন কিঃ
মানুষের সহজাত অভ্যাস যখন তার মাথায় কোন প্রশ্নের উদ্ভব হয় তখন সে অন্যের কাছে সে প্রশ্নের উত্তর ওন্যের কাছে জানতে চায়। যদি কোউ তার প্রশ্নের উত্তরটি না জানে তখন সে সার্চ ইঞ্জিনের (search engine)এর সাহায্য নিয়ে জানার চেষ্টা করে। যেমনঃ গুগল (Google) ইয়াহু (Yahoo) ইত্যাদিতে। গুগলে সার্চ দিলে অসংখ্য সাইট তার সামনে এসে হাজির হয় তখন তার প্রয়োজন মত সাইটটি থেকে তার প্রয়োজনিয় তথ্য জানতে পারে।
মানুষ কেন সার্চ করেঃ
মানুষের ব্যস্ততার কারনে মানুষ আজ অনেক কিছুই মনে রাখতে পারেনা। মানুষ বিভিন্ন জিনিস জানার জন্য বিভিন্ন সময় ইন্টারনেটে সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে সার্চ করে থাকে। সার্চ ইঞ্জিনগুলো সাধারনত গুগল, ইয়াহু ইত্যাদি। মানুষের জানার কোন শেষ নেই সারা জীবনই এটা থাকবে এবং উত্তোরত্তোর এটা বৃদ্ধি পাবে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আমরা আমাদের ব্যবসা এমনকি নিজেদের ওয়েবসাইটকে সমৃদ্ধ করতে পারি।
আমাদের সার্চ কিওয়ার্ড দ্বারা সার্চ ইঞ্জিন কিভাবে সাইট খুজে পায়ঃ
সার্চ ইঞ্জিন সাধারনত ইনডেক্স ধরে কাজ করে আমরা যখন সার্চ দেই তখন ক্রয়লার (Crowler)তার ডাটাবেইজে রাখা তথ্য বাছাই করে দেখে এখানে ঐ একই ধরনের কী-ওয়ার্ড কতগুলো আছে। সে জতগুলো কী-ওয়ার্ড পাবে তার রিলেটেড সাইডগুলোকে এক এক করে পেইজ র্যাংকিং অনুযায়ী দেখাবে। সার্চ ইঞ্জিনের কাজ বুঝতে হলে এক কথায় আমাদের বিইয়ের প্রথমে যেমনঃ সূচী থাকে সূচী ধরে বিভিন্ন অধ্যায় বা পাতায় যাওয়া যায় ঠিক তেমনই সার্চ করে নির্দিষ্ট কোন সাইট বা একই ধরনের সাইট খুজে বের করা যায়।
ক্যারিয়ার হিসাবে SEO.
আপনি যদি SEO (Search Engine Optimization) ভালোভাবে শিখতে পারেন তাহলে freelancer site গুলোতে যেমনঃ ODesk.com, Freelancer.com Site গুলোতে SEO (Search Engine Optimization এর অনেক কাজ পাওয়া যায়। এসব সাইটগুলোতে কাজ করেক্স আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারেন। মানুষের সার্চ করার প্রবনতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আপনার ওয়েবসাইটকে যদি Search Engine এর ব্যাংকিং এ প্রথমদিকে নিয়ে আসতে পারেন তাহলে আপনার সাইটে বিভিন্ন পন্যের বিজ্ঞাপন দিয়ে ভালো অর্থ আয় করতে পারবেন। SEO (Search Engine Optimization)এ কাজ করার জন্য বেশী শিক্ষাগত জোগ্যতার প্রয়োজন হয় না। এমনও আছে কোন কোক দশম শ্রেনী পাশ করেও SEO এর কাজ করছে। SEO এর কাজ করার জন্য শিক্ষাগত জোগ্যতা কোন বাধা নয়। তাছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে SEO প্রোফেশনাল হিসাবেও আপনি চাকুরি করতে পারেন।
ওয়োবসাইটকে SEO করাঃ
আপনাকে ওয়েবসাইট SEO করতে হলে নিজের একটি ওয়েবসাইট থাকতে হবে তবে ব্লগিং সাইট হলেও চলবে অন্যথায় আপনি যদি অন্য কারো সাইট SEO করতে চান তাহলে যার ওয়েবসাইট তার অনুমতি নিয়ে করতে পারেন। আপনার যদি কোন ওয়েবসাইট বা ব্লগিং সাইট না থাকে তাহলে SEO করবেন কিসের। অনেক CMS (Content Management System)ওয়েবসাইট আছে যেগুলো থেকে আপনি বিনা পয়সায় কোন রকম ওয়েব ডিজাইনিং দক্ষতা ছাড়াই একটি ব্লগিং সাইট বানাতে পারবেন। CMS (Content Management System) সাইটগুলোর মধ্যে সবছেয়ে বহুল ব্যবহৃত সাইট হলো wordpress সাইট।
SEO এর জন্য পরিকল্পনা তৈরিঃ
একটি ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পাতায় আনার জন্য SEO (Search Engine Optimization) অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ন। তাই SEO করার পূর্বে একটি পরিকল্পনা করা দরকার। SEO করার পূর্বে একটি পরিকল্পনা করে পরিকল্পনা মত আগালে কাঙ্খিত সুবিধা পাবেন।
গুগল Analytics:
গুগল এনালাইটিক্স হচ্ছে একটি ফ্রি ওয়েব স্টাটিক্স ওয়েব এপ্লিকেশন যেখানে আপনি আপনার ওয়েব সাইটের ট্রাফিক ট্রাক করতে পারবেন। গুগল এনালাইটিক্স ইউজ করার জন্য গুগলের একটি (জি মেইল আইডি) দরকার হবে। www.google.com/analytics এ গিয়ে আপনার G-Mail ID দিয়ে রেজিষ্ট্রিশন করে URL:// এর ঘরে আপনার ওয়েবসাইটের এড্রেস প্রদান করলে গুগল এনালাইটিক্স আপনাকে একটি কোড প্রদান করবে কোডটি আপনার সাইডে যোগ করে দিলে আপনার সাইটের ভিজিটর সংখ্যা এবং কোথা থেকে এসেছে ইত্যাদি দেখতে পাবেন।
সার্চ ইঞ্জিন ফ্রেন্ডলি ওয়েবসাইট তৈরিঃ
ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের বুঝার মতো করে বানাতে হবে। সার্চ ইঞ্জিন গ্রাফিক্স বা ফ্লাসের কাজ একদম পছন্দ করে না। তাই ওয়েবসাইটে জতটা সম্ভব গ্রাফিক্সের কমাতে হবে। ওয়েবসাইটে Flash বা Graphics এর ব্যবহার কমাতে পারলে তা Search Engine friendly হবে।
গ্রাফিক্স নয় টেক্সট এর ব্যবহারঃ
ওয়েবসাইটে গ্রাফিক্স ব্যবহার না করে টেক্সট ব্যবহার করাই ভালো। কারন ছবি বা গ্রাফিক্স এর মধ্যে টেক্সট দিয়ে রাখলে সেটা সার্চ ইঞ্জিন পড়তে পারেনা।
পোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ এবং SEO
ওয়েবসাইট তৈরি করতে প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ ব্যবহার করা হয় এ প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ সার্চ ইঞ্জিন ফ্রেন্ডলি হতে হবে। যেমনঃ PHP, HTML, Java Script ইত্যাদি।
সহজ করে ওয়েবসাইট তৈরি।
অয়েবসাইটে ভিজিটররা আসে সাধারনত তাদের কাংঙ্খিত সেবা পেতে। ভিজিটররা যদি সে জিনিসটি খুজে না পায় তাহলে ভিজিটররা সাইটে আসবে না। আপনার ওয়েবসাইট বানাতে হবে খুব সহজ করে যাতে ভজিটররা যে কারনে আপনার সাইটে আসবে সে জিনিসটি সে জিনিসটি খুজে পায়। ধরুন আপনি একটি সাইট বানালেন Travel সম্পর্কে তাহলে আপনার আপনার সাইটে Travel সম্পর্কিত সকল Component গুলোকে Home Page এ রাখতে হবে। যাতে করে ভিজিটররা আপনার সাইটে এসে তার প্রয়োজনিয় জিনিসগুলো খুজে বের করতে পারে।
কনটেন্টঃ-
ওয়েবসাইট বানানো হয় সাধানত কনটেন্ট ডিসপ্লে করানোর জন্য আপনার সাইটের কনটেন্ট যত ভালো হবে তত বেশী সংখ্যক ভিজিটর আপনার সাইটে আসবে। সাইটের কনটেন্ট ভালোভাবে লিখতে পারলে ওয়েবসাইট SEO (Search Engine Optimization)এর কাজ করতে সুবিধা হবে। আপনাকে মনে রাখতে হবে যে সাইটে যত বেশী সংখ্যক ভিজিটর আসবে পেজ র্যাংকিং তত বেশী বাড়বে আর আপনার ওয়েবসাইটকে পেজ র্যাংকিং এ ভালো অবস্থানে নিয়ে জেতে পারলে আপনি যেকোন বিজ্ঞাপন আপনার ওয়েবসাইটে প্রদর্শন করিয়ে মাসে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারেন।
সোশ্যাল বুকমার্কিংঃ-
বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া সাইট, যেমনঃ ফেসবুক, টুইটার, লিংকডন, ডেলিশার্স, ডিগ, রেডিট ইত্যাদি ব্যবহার করে আপনার ব্যবহার করে আপনার ওয়েব সাইটের প্রচার করতে পারেন।
সার্চ ইনডেক্সঃ
আমরা গুগলের সার্চ বক্সে কোন শব্দ (Word) লিখে সার্চ দিলে ইন্টার দিলে গুগলের পেইজে যে অসংখ্য পেইজ আপনার সামনে হাজির হয় তাকেই সার্চ ইন্ডেক্স বলে।
সার্চ কোয়েরিঃ
একজন ইউজার তার প্রয়োজনে যে বা শব্দ (word) সার্চ বক্সে লিখে সর্চ করার জন্য তাকে সার্চ কোয়েরি বলে। যেমনঃ আমরা গুগলের সার্চ বক্সে লিখলাম Online money earning সম্পর্কে জানার জন্য তাহলে Online money earning ই হল সার্চ কোয়েরি।
কিওয়ার্ড সিলেক্ট করা।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সাইট সম্পর্কিত সঠিক কী-ওয়ার্ড বাছাই করা। কী-ওয়ার্ড সঠিকভাবে বাছাই করতে না পারলে এসইও করে সুবিধা পাবেন না। কী-ওয়ার্ড বাছাই করার সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যেন সে কী-ওয়ার্ড এর প্রতিদ্বন্দ্বী কম থাকে। ধরুন আপনি এমন একটি কী-ওয়ার্ড বাছাই করলেন যে কী-ওয়ার্ড দিয়ে সার্চ দিলে এক লক্ষ সাইট আসে। তাহলে সে কী-ওয়ার্ডের সাথে আরো কছু শব্দ যোগ করুন দেখবেন প্রতিদন্ধি কমে এসেছে। কী-ওয়ার্ড নিয়ে গবেষনা করার জন্য সবচেয়ে ভালো সাইট ইলোঃ- "http://adwords.google.co.uk/select/keywordtoolexternal" এই সাইটটিতে গেলে আপনি কী-ওয়ার্ড নিয়ে গবেষনা করতে পারবেন।
ওয়ার্ড ট্রাকারঃ
ওয়েবসাইটকে SEO করার জন্য Wordtraker একটি অত্যান্ত প্রোজনীয় টুলস। মানুষ ইন্টারনেট ব্যাবহার করে কোন ধরনের সাইট বেশী সার্চ করে এবং তারা কি ধরনের কী-ওয়ার্ড বেশী ব্যাবহার করে তা ওয়ার্ড ট্রাকার ব্যবহার করে জানা যায়। ধরুন আপনি একটা Tutorial site বানাচ্ছেন ধরুন তার কী-ওয়ার্ড Tutorial এই কি-ওয়ার্ড ধরে সর্বশেষ ১০০ দিনে কতবার সার্চ করা হয়েছে তা জানতে পারবেন। আপনি যদি আপনার সাইটের জন্য কী-ওয়য়ার্ড সিলেক্ট করে থাকেন তাহলে ওয়ার্ড ট্রাকার ব্যবহার করে জানতে পারবেন কতজন লোক ঐ কী-ওয়ার্ড ধরে সার্চ করেছে বা ঐ কি-ওয়ার্ডের গুরুত্ব কতটুকু।
কী-ওয়ার্ড ডেনসিটি টুলসঃ
কী-ওয়ার্ড ডেনসিটি টুলস ব্যবহার করে আপনি জানতে পারবেন আপনার সাইটের জন্য রিলেটেড কী-ওয়ার্ড গুলোর গুরুত্ব কতটুকু। এরকম একটি সাইটের নাম www.webbuildpages.com এ সাইটে গিয়ে Other SEO বাটনে ক্লিক করে submenu থেকে Free SEO tools এ ক্লিক করলে একটি বক্স আসবে সেখানে আপনার website এর এড্রেস টাইপ করে দিলে আপনি জানতে পারবেন আপনার সাইট রিলেটেড কী-ওয়ার্ডগুলোর অবস্থা কি রকম।
গুগল Adwords ব্যবহার করে সাইটে ভিজিটর আনা।
গুগল Adwords হলো গুগলের একটি সেবা যেখানে আপনি টাকার বিনিময়ে আপনার সাইটে ভিজিটর আনতে পারবেন। এ সেবা পেতে আপনাকে মাসে গুগলকে একটা এ্যামাউন্ট পে করতে হবে। আপনি যখন গুগল Adwords হলো এ রেজিষ্ট্রেশন করে আপনার সাইট এড্রেস দিবেন তখন গুগল আপনাকে একটা সার্ভিস সেলেক্ট করতে বলবে। এবং আপনাকে একটা Amount Pay করতে বলবে। আপনি Amount Pay করলে গুগল বিভিন্ন সাইটে আপনার সাইটের লিংক শো-করিয়ে আপনার সাইটের ভিজিটর বাড়িয়ে দিবে।
ওয়েবমাষ্টার টুলকিটের ব্যবহারঃ
ওয়েব সাইটকে SEO করার জন্য www.webmastertoolkit.com একটি অত্যান্ত প্রয়োজনীয় একটি সাইট। এ ওয়েব সাইটে প্রবেশ করে দেখতে পাবেন keyword analysis tools নামে একটি অপশন আছে এখানে ক্লিক করে আপনার ওয়েবসাইটের নাম দেওয়ার জন্য Your URL লেখা একটি বক্স পাবেন উক্ত ঘরে আপনার ওয়েবসাইটের নাম দিতে হবে। ওয়েবসাইটের নাম দেওয়ার পরে নিচে একটি বাটন পাবেন Analysis keyword লেখা ঐ বাটনে ক্লিক করলে আপনার ওয়েবসাইট রিলেটেড কী-ওয়ার্ড দেখতে পাবেন।
robots.txt ফাইলের ব্যবহারঃ
প্রতিটি সার্চ ইঞ্জিন ওয়েব সাইটের একটি করে রোবোটিক পোগ্রাম থাকে যা দিয়ে ঐ সার্চ ইঞ্জিন বিভিন্ন সার্ভার থেকে ওয়েব সাইট কালেক্ট করে। রোবোট প্রোগ্রামের কাজ হলো অনলাইনের ভিতর দিয়ে ঘুরে বেড়ানো এবং নতুন কোন সাইটের ঠিকানা খুজে পেলে তা তার ডাটাবেজে নিয়ে জমা করা। এই রোবোটিক প্রোগ্রামকে একেক সময় একেক নামে ডাকা হয়। যেমনঃ ইন্ডেক্সার, বট, ওয়েব স্পাইডার, ওয়েব রোবট ইত্যাদি । ওয়েব সাইটে অনেক সময় অপ্রয়োজনিয় পেইজ থাকতে পারে এ পেইজটি যাতে গুগলের ক্রাউলার ইনডেক্স করতে না পারে সে জন্য robots.txt ফাইল ব্যবহার করে ইনডেক্স করা থেকে বিরত রাখা যায়। এ ফাইলটি সার্ভারের মূল ফাইলের ভিতর রাখতে হয়। গুগলের ওয়েবমাস্টার টুলস সাইট থেকে এই ফাইল তৈরি করা যায়।
অন-পেইজ অপটিমাইজেশন।
এসইও মূলত দুই প্রকার অন-পেইজ অপটিমাইজেশন ও আফ-পেইজ অপটিমাইজেশন। অন-পেইজ অপটিমাইজেশন মূলত আপনার ওয়েবপেইজ/ ওয়েবসাইটের ভিতরে কাজ করাকে বুঝায়। এটি মূলত সাইট এর HTML বা ওয়েবসাইট দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
অন-পেইজ অপটিমাইজেশন কি
একটি ওয়েবসাইটের পেইজে কি কি করা হবে সেটি ওয়েবসাইট এ্যাডমিনিষ্ট্রেটর অথবা কোড দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। অন-পেইজ অপটিমাইজেশন দ্বারা একটি ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিন র্যাকিং এ প্রথম দিকে নিয়ে আসা যায়। একটি ওয়েব সাইটের অন-পেইজ অপটিমাইজেশন যত ভালো হবে। গুগল সার্চ ইঞ্জিনের কাছে তত ভালোভাবে পরিচয় করানো যাবে।
অন-পেইজ অপটিমাইজেশন কেন প্রয়োজনঃ-
কোন পন্যের প্রচার-প্রসার করার জন্য বিভিন্ন টিভি চ্যানেল ও পেপারে বিজ্ঞাপন দিতে হয় জাতে পন্যের গুনগত মান সম্পর্কে সকলে অবগত হতে পারে। তাই আপনার ওয়েবসাইটকে বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন যেমনঃ গুগল, ইয়াহু, বিং ইত্যাদির নিকট পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য ওয়েবসাইটের অন-পেইজ অপটিমাইজেশন অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ন। আপনার ওয়েবসাইটের ভিতর যদি অন-পেইজ আপটিমাইজেশন না করেন তাহলে অফ-পেইজ অপটিমাইজেশন করে কোন সুফল পাবেন না। অন-পেইজ অপটিমাইজেশন করতে সাধারণত যে সকল বিষয় অত্যান্ত গুরুত্ব সহকারে করতে হয় তা হলঃ- টাইটেল, মেটা ডেসক্রিপশন, মেটা কী ওয়ার্ড, হেডিং, এ্যাঙ্কর টেক্সট ইত্যাদি এ সকল বিষয়গুলো যত্ন সহকারে ভালোভাবে বুঝে করতে হয়।
টাইটেল (Title)
ওয়েবপেজের টাইটেল সাধারণত ঐ সাইটের সংক্ষিপ্ত বিবরণ প্রকাশ করা হয় যাতে ভিজিটররা সাইট দেখে বুঝতে পারে এই সাইটে কি আছে। সার্চ ইঞ্জিন ক্রলার () যখন কোন একটি ওয়েবসাইট পায় তখন সর্বপ্রথম এই টাইটেলকে ইনডেক্স করে। • এখানে ওয়েবসাইটের জন্য নির্বাচিত কী-ওয়ার্ডগুলো বসাতে পারেন। একই টাইটেল সকল পেইজে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। আপনার ওয়েবসাইটের প্রতিটি পেজের জন্য আলাদা আলাদা টাইটেল বিষয় অনুসারে নির্ধারণ করুন। টাইটেল ট্যাগ সাধারনত Head Section এর ভিতর ট্যাগ এর ভিতর লিখতে হয়।
মেটা ডেসক্রিপ্টশনঃ
মেটা ডেসক্রিপশন এর ভিতর আপনি আপনার ওয়েবসাইটের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা প্রদান করতে পারেন। ওয়েবপেইজকে সার্চ ইঞ্জিনের নিকট অধিক পরিচিত করার জন্য প্রতিটি পেইজে মেটা ডেসক্রিপশন ব্যবহার করা উচিৎ। সার্চ ইঞ্জিন থেকে অধিকতর ভিজিটর পেতে মেটা ডেসক্রিপশন এর প্রতি গুরুত্বআরোপ করা প্রয়োজন। কারন বেশিরভাগ ভিজিটর সার্চ দেওয়ার পর তাদের সামনে যে ওয়েবসাইটগুলোর লিষ্ট আসে ভিজিটররা সেখান থেকে পড়ে দেখে কোনটি তাদের প্রয়োজন বা যেটি পড়ে বেশি সন্তুষ্ট হয় সেটি তারা ভিজিট করে।
মেটা কী-ওয়ার্ড (Meta Keywords)
কী-ওয়ার্ড হচ্ছে একটি ওয়েবসাইটের চাবি (শব্দ সমষ্টি) যার দ্বারা সার্চ ইঞ্জিন একটি সাইটকে ইনডেক্স করতে পারে। যেমনঃ ভিজিটররা সার্চ দিতে পারে Foreign education বা free computer trainin দিয়ে। এখানে Foreign education বা free computer training ই হল কী-ওয়ার্ড। আপনার ওয়েবসাইটে এ রকম ৪ থেকে ৫ টি কী-ওয়ার্ড আপনি ব্যবহার করতে পারবেন। মেটা কী-ওয়ার্ড লিখতে নিচের নিয়ম অনুসরন করতে পারেন। হেড সেকশনের ভিতর মেটা কী-ওয়ার্ড কি হবে তা লিখতে হয়।
হেডিং (Heding):
ওয়েবপেজের গুরুত্বপূর্ণ অংশকে লেখার জন্য হেডিং ট্যাগ ব্যবহার করা হয়। হেডিং বা শিরোনাম যেমনঃ ওয়েবসাইটের শিরোনাম যেমন ওয়েবসাইটের মূল বিষয়বস্তু লিখার জন্য সাধারনত "h1" ট্যাগটি ব্যবহার করা হয়। এর থেকে কম গুরুতবপূর্ণ অংশ যেমন কোন প্যারাগ্রাফের হেডিং লেখার জন্য "h2" ট্যাগটি ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও "h3 থেকে h6" পর্জন্ত আরো চারটি ট্যাগ আছে কিন্তু এগুলো তেমন একটা কাজে আসেনা।
এ্যাঙ্কর টেক্সটঃ
টেক্সট সাধারনত দুই প্রকার যেমনঃ (ক) স্বাভাবিক টেক্সট ও (খ) এ্যঙ্কর টেক্সট (লিংক)। স্বাভাবিক টেক্সট বলতে আমরা বুঝি যে সমস্ত টেক্সট আমরা সাধারনত বিভিন্ন ওয়েবসাইটে দেখতে পাই তাকে সাধারনত স্বাভাবিক টেক্সট বলে থাকি। আর এ্যাংকর টেক্সট বলতে সাধারনত যে টেক্সট দ্বারা আন্য একটি ওয়েবসাইট বা কোন পেজকে লিংক করা হয় তাকে এ্যাংকর টেক্সট বলে। যেমনঃ Click to go computer Traning Centers Website.এখানে a হচ্ছে এ্যাংকর ট্যাগ। হচ্ছে এ্যাংকর ট্যাগ এর আট্টিবিউট আর এর ভ্যালিউ হিসাবে লিংক ব্যবহার করা হয়। (এখানেClick to go computer Traning Centers Website.) আমরা Click to go computer Traning Centers Website. লেখাটিতে ক্লিক করে আমাদের সাইটে জেতে পারবো।
বোল্ড এবং ইতালিক টেক্সটঃ
লেখাকে বোল্ড করার জন্য সাধারনত এইচটিএমএল এর "b" এবং ইতালিক করার জন্য " i " ট্যাগ ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আমরা সাধারনত মনে করে থাকি যে বোল্ড এবং ইতালিক টেক্সটকে সার্চ ইঞ্জিন আন্যান্য সাভাবিক টেক্সট এর চাইতে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। কথাটা অনেকাংশে সত্যি। তবে বাস্তব সত্য হলো এই যে, আপনি যদি অন্য ভাবে মানে বোল্ড করার জন্য " strong " এবং ইতালিক করার জন্য " em " ব্যবহার করেন তাহলে সার্চ ইঞ্জিন এটা আমলে নিবে।
ALT এ্যাট্টিবিউট
বর্তমানে প্রায় সকল ধরনের ওয়েব সাইটেই কিছু না কিছু ইমেজ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কিন্তু সার্চ ইঞ্জিন ইমেজ পড়তে পারে না। তাহলে আমরা ইমেজের জন্য সার্চ করলে যে বিভিন্ন সার্চ রেজাল্ট আসে এটা সম্ভব হয় ALT এ্যাট্টিবিউট এর জন্য ALT হচ্ছে Alternative এর সংক্ষিপ্ত রূপ।
ভাল আর্টিকেল লেখাঃ-
একটি সাইটের আর্টিক্যাল যদি মানসম্মত হয় তাহলে এটি সেই সাইটের এর জন্য প্লাস পয়েন্ট হিসাবে কাজ করবে। তাছাড়া আপনার ভিজিটর ধরে রাখার জন্য অবশ্যই আপনার সাইট কনটেন্ট ভালো দিতে হবে। অন্যথায় আপনার সাইটের বাউন্স রেট বেড়ে যাবে। যা এসইও এর জন্য খুবই খারাপ ব্যাপার হবে। আপনার সাইটের ভিজিটর ধরে রাখতে প্রতিনিয়ত আপনার সাইট আপডেট রাখতে হবে।
সাইট সাবমিশনঃ
আপনি আপনার সাইটকে এসইও করার জন্য প্রথমেই তা সার্চ ইঞ্জিনে সাবমিট করতে হবে। জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগলে সাবমিট করতে নিচের লিংকে যান। www.google.com/webmaster/tools/submit-url এই লিংকে গেলে নিচের মত একটি চিত্র আসবে।
এখানে URL এর ঘরে আপনার সাইটের এড্রেস দিন।
অপ-পেইজ অপটিমাইজেশন
অপ-পেইজ অপটিমাইজেশন মানে হচ্ছে ওয়েবপেইজ এর বাইরে ওয়েবপেইজ মার্কেটিং করাকে বুঝায়। বিভিন্ন সাইটে ওয়েব ডাইরেক্টরি পেইজে ডাইরেক্টরি সাবমিট করে, ফোরাম পোস্টিং করে, লিংক এক্সচেঞ্জ করে, সোশাল বুকমার্কিং করে, ভিডিও সাবমিট ও ব্লক পোস্টিং করে সাইটের ভিজিটরের সংখ্যা বাড়ানোর কাজই হলো অফ-পেইজ অপটিমাইজেশন বুঝায়।
আর্টিকেল ডিরেক্টরি সাবমিশনঃ
আপনার তৈরিকৃত ব্লগ বা সাইটের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে আপনার সাইট সম্পর্কে ভালো একটি আর্টিকেল লিখুন তারপর আপনার সাইটের লিংক ব্যবহার করুন এবং যে লিংক ব্যবহার করবেন তার Anchor Tex এ আপনার সাইটের Keywords ব্যবহার করবেন। আর্টিকেলটি বিভিন্ন ডাইরেক্টরিতে সাবমিট করুন। আপনার আর্টিকেলটি যদি ভালো হয় তবে সেখান থেকে আপনার সাইটে অনেক ভিজিটর পাবেন।
ডিরেক্টরি সাবমিটঃ
ওয়েব এড্রেস সাজিয়ে রাখার জন্য অনলাইনে অনেক সাইট রয়েছে যেখানে বিভিন্ন বিভাগে আপনার সাইটের লিংক সাজিয়ে রাখতে পারেন। গুগলে সার্চ দিলে আপনি অনেক ওয়েব এড্রেস এর সাইট খুজে পাবেন। আর এ সকল সাইটে আপনার সাইটের লিংক দেওয়া হলে সেটিকে বলা হয় ডিরেক্টরি সাবমিশন। এ সকল সাইটে আপনার সাইটের লিংক দিয়ে দিলে এখান থেকেও আপনি অনেক ভিজিটর পাবেন।
ফোরাম পোষ্টিং
আফ-পেইজ অপটিমাইজেশনে ফোরাম পোষ্টিং একটি গুরুত্বপূর্ন মাধ্যম। অনলাইনে এমন হাজার হাজার ফোরাম রয়েছে যেখানে দৈনিক বহু ফোরাম সদস্যগন ফোরামে পোষ্ট দিয়ে থাকে। এ সকল ফোরাম সাইটের সদস্য হয়ে যে কেউ তাদের সাইট সম্পর্কে পোষ্ট দিতে পারে। ফোরামে স্বাক্ষর হিসাবে আপনার সাইটের লিংক রাখবেন। তাহলে আপনি যত পোষ্টে মন্তব্য করবেন ঐ সকল পোষ্টে আপনার লিংক চলে আসবে। এক্ষেত্রে বিশেষকরে যে সকল সাইটে রয়েছে Do follow রয়েছে সে গুলোতে বেশি বেশি করে কমেন্টস করুন।ফলে একদিকে যেমন আপনার ভিজিটর বাড়বে অন্যদিকে আপনার সাইটের লিংকও বৃদ্ধি পাবে যা পেইজ র্যাংকিং এর জন্য খুবি উপকারি।
লিংক এক্সচেঞ্জ
অন্য সাইটের লিংক আপনার ওয়েব সাইটে দিয়ে দিতে পারেন এতে আপনার ওয়েবসাইটের আউটগোয়িং র্যাংকিং বেড়ে যাবে। এতে করে কেউ আপনার সাইটে ভিজিট করতে এসে অন্য সাইটে চলে জেতে পারে। আবার গুগল ক্রলার (Crowler) যখন আপনার সাইট ইনডেক্স করতে আসবে তখন অন্য সাইটের লিংক পেলে ঐ সাইটও ক্রলার ইনডেক্স করবে। এক্ষেত্রে আপনি HTMT এর ভিতর site name লিখে দিলে ঐ সাইট Index করা থেকে বিরত থাকবে। আবার অন্য সাইটের আপনার সাইটের লিংক বিনিময় করতে পারলে আথবা অন্য সাইটে মন্তব্য করে আপনার সাইটের লিংক দিয়ে দিলে আপনার সাইটের ইনকামিং র্যাংকিং বেড়ে যাবে।
সোশ্যাল বুকমার্কি।
আপনার ওয়েবসাইটের মার্কেটিং করার জন্য এবং যাতে ওয়েবসাইটে বেশি সংখ্যক ভিজিটর পাওয়া যায় তার জন্য বিভিন্ন সোশ্যাল সাইটে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক দিয়ে দিতে পারেন। বিভিন্ন সোশ্যাল সাইট যেমনঃ ফেসবুক, টুইটার, লিংডন, ডেলিশাস, ডিগ ও রেডিট ইত্যাদি সাইট ব্যবহার করে আপনার ওয়েবসাইটের প্রচার করতে পারেন। বেশিরভাগ বুকমার্কিং সাইট no follow অনুসরন করে তাই দেখেশুনে Do follow সাপোর্ট করে সেখানে বুকমার্কেং করা ভালো।
ভিডিও সাবমিশন
আপনার ওয়েবসাইট সম্পর্কে একটি ভালো ভিডিও তৈরি করে বিভিন্ন ভিডিও সাবমিশন সাইটে সাবমিট করতে পারেন। এখান থেকেও আপনি বহু ভিজিটর পেতে পারেন। ভিডিও সাবমিশন সাইট যেমনঃ Youtube.com এবং ইন্টারনেটে আরো অনেক সাইট আছে যেগুলোতে ভিডিও সাবমিট করা যায়। এ সকল সাইটে ভিডিও সাবমিট করে আপনি আপনার সাইটে অনেক ভিজিটর বাড়াতে পারেন।
ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিন ফ্রেন্ডলি করার জন্য HTML জানা আবশ্যক
ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিন ফ্রেন্ডলি করার জন্য HTML এ কিছু ট্যাগ ব্যবহার করা হয় জাতে সার্চ ইঞ্জিনের কাছে অয়েবসাইট টি গ্রহনযোগ্যতা লাভ করে। সাধারনত ওয়েবসাইটে বোল্ড ও ইতালিক শব্দ ব্যবহার করলে সার্চ ইঞ্জিনের কাছে গ্রহণযোগ্যতা বেড়ে যায়। তবে HTML আমরা দেখে থাকি বোল্ড করার জন্য সাধারনত <b> ট্যাগ ও ইতালিক করার জন্য <I> ট্যাগ ব্যবহার করা হয়। এভাবে বোল্ড ও ইতালিক করলে সার্চ ইঞ্জিন সাপোর্ট করে না এর পরিনর্তে বোল্ড করার জন্য <strong> ট্যাগ ও ইতালিক করার জন্য <em > ট্যাগ ব্যবহার করলে বেশী সুবিধা পাওয়া যায়।
<em> Element.
Emphasis এর সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে em এর অর্থ গুরুত্ত দেয়া। অর্থাৎ কোন বাক্যকে গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ করা। এই ট্যাগ ব্যবহার করার ফলে ব্রাউজারে উক্ত শব্দটি ইতালিক আকারে প্রকাশ করে। এই ট্যাগ ব্যবহার করার ফলে সার্চ ইঞ্জন সাইটটিকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকে। নিম্নে একটি উদাহরন দেয়া হলোঃ <p>You <em>must <em> remember to close element in HTML5 version </p>
<strong> Element
একটি বাক্যকে ব্রাউজারে অধিক গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ করার জন্য <strong> Tag টি ব্যবহার করা হয়। এই ট্যাগ ব্যবহার করার কারনে বাক্যটিকে ব্রাউজারে গাঢ় বা বোল্ড আকারে প্রকাশ করা যায়। এই ট্যাগ ব্যবহার করার ফলে সার্চ ইঞ্জন সাইটটিকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকে। নিম্নে একটি উদাহরন দেয়া হলোঃ <p> This site inform you how can you create <strong> SEO(Search Engine Optimization) <strong> related site. </p>
<address> Element.
বাসার ঠিকানা/ মেইল এড্রেস/ কন্টাক্ট ইনফরমেশন ইত্যাদি ওয়েবপেজে দেওয়ার জন্য এই এলিমেন্টটি ব্যবহার করা হয়। নিম্নে একটি উদাহরন দেওয়া হলো। <html>
<head>
<title> Use of HTML Pharse Element </title>
</head>
<body>
<h1 align="center"> Address Element. <h1>
<abbdrss>
Name: Md.Mahbubur Rahman <br/>
E-mail : rahman.murad2008@gmail.com <br/>
phone : 01911-931867
<address>
</body>
</html>
Comments
Post a Comment